রাহিম আহমেদ : বাহুবল উপজেলার কালাখারুল গ্রামে ক্যারাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ভাই ভাতিজাদের পিকলের আঘাতে গুরুত্বর আহত হন চাচা আব্দুল সাত্তার(৫৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার কালাখারুল গ্রাম।
জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নের কালাখারুল গ্রামে গত ২/৩দিন আগে আব্দুল সাত্তারের ভাই সোনাই মিয়ার ছেলে সহ কয়েকজন রাস্তায় ক্যারাম বোর্ড খেলছিল। এসময় সোনাই মিয়া ও সাত্তারের ভাতিজীর জামাই শুকুর মিয়া রাস্তা দিয়ে শ্বশুর বাড়ী যাচ্ছিলো, ক্যারাম খেলোয়াড়দের সাথে শুকুর মিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়।
এ নিয়ে রবি মিয়া, তার ছেলে হারুন মিয়া ও বিল্লাল মিয়ার সাথে সোনাই মিয়া ও আবুল সাত্তারের বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি মিমাংসা করার উদ্যোগ নেন এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত রবিবার বিকেলে মুরুব্বিদের জানানোর কথা ছিল উভয় পক্ষের। কিন্তু রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে ৬ টার দিকে কিছু বুঝে উঠার আগেই সোনাই মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায় রবি মিয়া, তার ছেলে হারুন, বিল্লাল, তাদের মেয়ের জামাই শুকুর মিয়া ও তাদের লোকজন। এ সময় আব্দুল সাত্তার এগিয়ে গেলে তার উপর নির্মম ভাবে হামলা চালায় রবি মিয়ার লোকজন।
এসময় সংঘর্ষে আব্দুল সাত্তার ৫৫, তার ছেলে শিবলু মিয়া সহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল সাত্তারকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,আব্দুল সাত্তারের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়, সেখানেও আব্দুল সাত্তারের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় পরিবারের লোকজন।
হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকায় বিকাল প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে রাস্তায় মারা যান আব্দুল সাত্তার। পরে আব্দুস সাত্তারের মৃতদেহটি বাহুবল মডেল থানার পুলিশ লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।